জেদ্দা, সৌদি আরব, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা, সৌদি আরবের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪’ পালন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পরেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর কনসাল জেনারেলের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্র এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানে তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একাত্তরে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। শহিদদের স্মরণে ১ মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর তৈরিকৃত বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কমিউনিটি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে জেদ্দা প্রবাসী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতে তাঁর প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও যুদ্ধকালীন একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কঠিন পরিস্থিতির ওপর স্মৃতিচারণ করেন। অতঃপর কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্য রাখেন। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও গণহত্যার মূল খলনায়ক হিসেবে কুখ্যাত পাকিস্তানি আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান এবং টিক্কা খানের ধারাবাহিক কুকীর্তি, নৃশংসতা ও যুদ্ধ পরবর্তী তাদের দুঃসহ মানসিক অবস্থার বিশদ বর্ণনা করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে জাতির পিতার অসামান্য অবদানের ইতিহাস শিশু-কিশোরদের মাঝে তুলে ধরার জন্য প্রবাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় বাংলাদেশি সাংবাদিকবৃন্দ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেদ্দা প্রবাসী বাংলাদেশিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।