রিয়াদ, সৌদি আরব, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় গণহত্যা দিবস। সোমবার (২৫ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চলমান আন্দোলন প্রতিহত করতে ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর নীল নকশায় ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। নির্মমভাবে হত্যা করে শত শত নিরস্ত্র মানুষকে, রচিত করে মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এদিন মধ্যরাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন যা তৎকালীন ইপিআর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। রাষ্ট্রদূত বলেন, গণহত্যা দিবস পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে নিহত ত্রিশ লাখ শহিদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতির পাশাপাশি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়েছে। তাই ১৯৭১ সালে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জরুরি। আর এই স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি কমিউনিটি, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মিশন উপপ্রধান মোঃ আবুল হাসান মৃধা, ডিফেন্স অ্যাটাসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ গোলাম ফারুক বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া আরো বক্তব্য প্রদান করেন রিয়াদস্থ বাংলাদেশী কমিউনিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব। বক্তারা সবাই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সংঘটিত ভয়াল গণহত্যার বিচার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেন। অনুষ্ঠানে জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল রাত ৮ টা থেকে ১ মিনিটের জন্য দূতাবাসে ব্লাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।