হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:ভিয়েতনামের হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাব-গম্ভীর পরিবেশে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। সোমবার (২৫ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে নিহত সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, মোমবাতি প্রজ্বলন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। বক্তব্যের শুরুতে তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। তিনি আরো স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহিদ, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি লাল সবুজ পতাকা। ২৫ মার্চ গণহত্যায় হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার চিত্র তুলে রাষ্ট্রদূত রহমান বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের দ্বারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের নৃশংস ও নারকীয় গণহত্যাগুলোর অন্যতম। ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ লক্ষ্যে স্বাগতিক দেশ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে একযোগে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।