ইস্তাম্বুল, তুরস্ক, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ইস্তাম্বুলে যথাযথ মর্যাদায় ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম কর্তৃক মিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপনের সূচনা হয়। অতঃপর কনসাল জেনারেলের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় কনসাল জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্য-গণসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কনসাল জেনারেল ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী এই ভাষণ ১৯৭১ সালে সকল বাঙালিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। UNESCO কর্তৃক ৭ই মার্চের ভাষণ “World Documentary Heritage” হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি সারাবিশ্বে নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে যেমন উদ্বুদ্ধ করেছিল ঠিক তেমনই তাঁর সেই ভাষণ অনন্তকাল ধরে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। পরিশেষে কনসাল জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে তাঁর পাশে থাকার জন্য সকলকে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দসহ, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।