ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ইয়াংগুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ উদ্যাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য। বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী নির্যাতিতা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে জাতির জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন এবং যুদ্ধকালীন দেশের অর্থনৈতিক নীতির রূপরেখা হিসেবে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এই ভাষণের মাধ্যমে জনগণের আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে কূটনৈতিকভাবে অসাধারণ বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় একসূত্রে বেঁধেছিলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের চুম্বক অংশ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরোক্ষ ঘোষণা যা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে আসে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর ইতিহাসের বিখ্যাত ভাষণগুলোর সাথে তুলনা করে ড. হোসেন বলেন, ভাষণটি শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যই নয়, মানুষের কাছে আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে এটি একটি কালজয়ী অনন্যসাধারণ দলিল। ভাষণটির গুরুত্ব উপলব্ধি করে ২০১৭ সালে UNESCO এটিকে ‘World’s Documentary Heritage’ এর মর্যাদা দিয়ে ‘Memory of the World International Register’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সঠিক পথে রয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন আমাদেরকে বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসের শিক্ষা এবং উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের সুযোগ দেয়। অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।