All Menu

ভারতের মুম্বাইয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন

মুম্বাই, ভারত, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, মুম্বাইয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মুম্বাইয়ে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার দিবসের সূচনা করেন। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আলোচনা সভায় মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও ঐন্দ্রজালিক এই ভাষণের সার্বজনীন আবেদন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পাই আমাদের প্রিয় সোনার বাংলা। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ যুগে যুগে বাঙালি জাতির ঐক্যের মূলমন্ত্র হয়ে কাজ করবে। মহান নেতার এই ভাষণ জাতির ইতিহাসে যেমন চিরন্তন তেমনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আজ স্বীকৃত। জাতির পিতার দেশপ্রেম ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে অবদান রাখার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। এরপর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের সচিত্র ভাষণ প্রদর্শিত হয়। বিশেষ মোনাজাতে স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল শহিদসহ জাতির পিতার মহান আত্মার এবং তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির শান্তি, উন্নতি এবং চলমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হতে উত্তরণ কামনা করে দোয়া করা হয়।
মুম্বাইস্থ কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রবাসী বাংলাদেশি, উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top