All Menu

ভিয়েতনামে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদ্যাপন

হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা পর্বে ভিয়েতনামে ‍নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার ১৮ মিনিটের ভাষণটি ছিলো বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ঐতিহাসিক ভাষণের শক্তি এতটাই গভীর ছিল যে, তা দল-মত নির্বিশেষে পুরো বাঙালি জাতিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নিমিত্ত ঐক্যবদ্ধ করেছিল। কালজয়ী এই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের অস্তিত্বেরই অংশ। রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ ইতোমধ্যে আমাদের দূতাবাস ভিয়েতনামের মাতৃভাষায় অনুবাদ করেছে যার মাধ্যমে আমাদের ভিয়েতনামের বন্ধুরাও বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবে। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top