রিয়াদ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বুধবার (১০ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী । রাষ্ট্রদূত বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাঁকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি করা হয়। বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে প্রহর গুনছিলেন। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক চাপে পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে সসম্মানে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বঙ্গবন্ধু, নাতিদীর্ঘ ভাষণে জাতিকে দেন দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সেদিন স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছিল। দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে নতুনরুপে গড়ে তুলেছিলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে নিতে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮ শত ২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।