ম্যানিলা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস । দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তাগণ। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লী হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। আজকের এই দিনে তাঁর দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই আমাদের মহান বিজয় পরিপূর্ণতা পায় ৷
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন। সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি সদ্য স্বাধীন দেশকে পুনর্গঠন করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য বাঙালি জাতি তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও চির-ঋণী। জাতির পিতার দেশপ্রেমের আদর্শকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে স্ব-স্ব জায়গা থেকে সকলকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি কামনা করে এবং জাতির পিতা ও ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।