All Menu

ডেঙ্গুরোগসহ ভেক্টর বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর-বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ি। এই জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরো প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।’ রবিবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) এক দিনের বিশেষ হেলথ ডে উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত ‘Launch of Asian Development Bank led climate and health initiatives’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাক্সিন প্ল্যান্ট স্থাপনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উদ্যোগ ও সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সাথে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘Walking the Talk with the Climate and Health Action’ শীর্ষক আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের ক্ষতি হয় এবং কীভাবে এর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যায় তা তুলে ধরেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুষ্টি ও জনসংখ্যা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (৫ম সেক্টর প্ল্যান) নামে আরেকটি বৈঠকে অংশ নিয়ে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে স্মার্ট এবং জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ বিকেলে বিশেষ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে ‘Climate Health Ministerial’ শীর্ষক আরেকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এসভায় প্রথমবারের মতো ‘Health Ministerial Declaration’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই Declaration কে জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত দিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোর ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে আরো সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের আশ্বাস দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top