ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি কাজে সৌরশক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলো সৌর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজারটি সৌর সেচ পাম্প ইনস্টল করতে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী, সোমবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দুবাইতে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘Scaling Up Solar Irrigation in Bangladesh’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি পোর্টফলিওকে সৌর মিনি-গ্রিড, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ, সৌর পানীয় জলের ব্যবস্থা, সোলার রুফটপ ইনস্টলেশন, সোলার এগ্রো পিভি, সৌর সেচ, বায়ু বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ প্রভৃতির মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ একটি ১০০ বছরের কৌশল_যা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি কেন্দ্রীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে বদ্বীপ ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহ হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানির বিষয়টিও সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা-২০২৩ তে বলা হয়েছে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে উন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দ্রুত ছাড় করা প্রয়োজন। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড হতে ৮০০ প্রকল্পে ৪৪৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়েরের সঞ্চালনায় ও যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং (Edimon Ginting) ও ইডকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।