নিউইয়র্ক, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি অ্যাডভাইজার জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সামরিক উপদেষ্টাগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ এবং দুই লাখেরও বেশি নির্যাতিত নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। এসময় তিনি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধস্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। এসকল কার্যক্রমের মাধ্যমে তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। উপস্থিত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়নে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগসমূহের বাস্তবায়ন সশস্ত্র বাহিনীকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করে তুলবে। সর্বোপরি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। অনুষ্ঠানে দেশে ও বিদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যবহুল ব্রিফিং প্রদান করেন মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।