All Menu

যথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ইতালিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

রোম, ইতালি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: যথাযোগ্য মর্যাদায় ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। ইতালি, সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান শুক্রবার দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হয় দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ এবং ‘স্বাধীনতা শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকলকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং সকল শহিদের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বঙ্গবন্ধু ও শহিদদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বই ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মূল চালিকা শক্তি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সেবা কার্যক্রমের মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। বর্তমান সরকারের প্রবাসীবান্ধব নীতির বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি উন্নত সেবা নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে দূতাবাস কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top