ভিয়েতনাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামের হ্যানয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ৫১ বছর উদযাপন করা হয় । দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, দূতাবাসে “বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ”-এর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ, ভারত ও ভিয়েতনামের কবিদের কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয় ।
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ প্রত্যুষে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকতা ও কর্মচারীরা সপরিবারে এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে বিজয় দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, আলোকচিত্র প্রদর্শণী, ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, কবিতা পাঠেরও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সন্দীপ আরিয়া, ভারতের বিশিষ্ট লেখক ও কবি ড. রেশমা রমেশ, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও কবি আমিনুর রহমান, ভিয়েতনাম রাইটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ন্যুয়েন কুয়াং থিউ, ভিয়েতনাম রাইটার্স এসোসিয়েশনের লেখিকা ন্যুয়েন বাও চান, লেখিকা কিউ বিচ হাউ এবং কবি হু ভিয়েট, ভিয়েতনামের ডিপ্লোমেটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি, ভিয়েতনাম টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য মিডিয়া এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবনদান এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদেশি বন্ধুসহ যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। উন্নয়নের এই গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ পরিণত হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় সংকল্পে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ট নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য তিনি আহব্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভিয়েতনামে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সন্দীপ আরিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বলেন “বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ”-এর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু যে অবিচ্ছেদ্য অংশ তা বঙ্গবন্ধুর বণাঢ্য কর্মজীবনের সার্বিক চিত্রে ফুটে উঠেছে যা আজকের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশ থেকে মর্যাদাশীল ‘মধ্যম আয়ের’ দেশে উন্নীত করায় বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।