নিউইয়র্ক, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মঙ্গলবার যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু কিশোরদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন। এ দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ শেখ রাসেল এর উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও থিম সং পরিবেশন করা হয়। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের উপর রচিত গানসহ দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তব্যসহ নানামুখী পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। শহিদ শেখ রাসেল, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। কনসাল জেনারেল তার বক্তৃতায় জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সময় কারাগারে বন্দি থাকায় শিশু রাসেল পিতার আদর যত্ন ও সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিশু বয়সে তার মধ্যে বিভিন্ন মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও রেহাই পায়নি। শিশু-কিশোরদেরকে পৃথিবীর আশা ও ভবিষ্যৎ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে আরো গভীরভাবে জানতে উৎসাহিত করেন।
পরে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।