ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্ম না হলে হয়ত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টিসহ বহুমাত্রিক গুণাবলীর কথা তুলে ধরে ড. শিরীন শারমিন বলেন, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী বঙ্গমাতা বাঙালির সূদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি সোমবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে আয়োজিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। স্পিকার আরো বলেন, নির্লোভ ও শাশ্বত বাঙালি নারী হিসেবে তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। জাতির পিতা কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গমাতা একদিকে যেমন দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে, দলকে সংগঠিত করে অন্যদিকে শক্তহাতে পরিবারের হাল ধরে মূল্যবোধ, শিক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সন্তানদের গড়ে তোলেন। তিনি বঙ্গমাতাকে ‘বিরল ব্যক্তিত্ব’ ও ‘সাধারণের মাঝেও অসাধারণ’ অভিহিত করে তাঁকে নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা সকল নারীর জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁরই অনুপ্রেরণা ও অনুরোধে বঙ্গবন্ধু কারাবন্দী অবস্থায় লেখালেখি শুরু করেন এবং ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র মতো অমর গ্রন্থ রচনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১-এর সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।