ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রবিবার (০২ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ‘বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রৈবার্ষিক) সাধারণ সভা’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রৈবার্ষিক) সাধারণ সভা আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ স্কাউটস ও কাউন্সিলের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
স্কাউটিং সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ব্যক্তি জীবনে এর প্রতিফলন ঘটিয়ে যুব সম্প্রদায়কে আত্মনির্ভর, সচ্চরিত্রবান ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশু, কিশোর ও যুবদের বিভিন্ন অরাজনৈতিক, সেবামূলক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত ও অভ্যস্ত করতে স্কাউট আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক আগ্রহে ১৯৭২ সালে দেশে স্কাউটিং যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা ২৫ লাখের অধিক। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ লাখ স্কাউট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে স্কাউট আন্দোলনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরলস প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের যুব সম্প্রদায়কে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। স্কাউট আন্দোলন এক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে। আমি আশা করি, এই কাউন্সিল সভায় নির্বাচিত নতুন নেতৃত্ব দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে স্কাউটিং আন্দোলনকে এগিয়ে নিবে। স্কাউটিং- এ কৃতিত্বপূর্ণ কাজ ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এবছর পদকপ্রাপ্ত স্কাউট সদস্যদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি বাংলাদেশ স্কাউটস এর জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রৈবার্ষিক) সাধারণ সভার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।