All Menu

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেই নদীর পানি সমস্যার সমাধান চাই

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: “গঙ্গা চুক্তি শেষ পর্যায়ে, তিস্তা চুক্তি অধরাই রয়ে গেছে, আন্তর্জাতিক নদীগুলো নিয়ে বাংলাদেশের দুঃখের শেষ হচ্ছে না। ইতোমধ্যে উত্তর বাংলার মেরুকরণ ঘটছে, আর দক্ষিণ বাংলায় উঠে আসছে লবণাক্ততা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেই নদীর পানির সমস্যার সমাধান করতে হবে।” শনিবার (২৫ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত “অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন: প্রেক্ষিত পদ্মা ও তিস্তা” শীর্ষক আলোচনা বক্তারা একথা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন। আলোচনা সূত্রপাতে সভায় সভাপতি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্যা লাভের ন্যায্যতা নিয়ে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মার্চের উল্লেখ করে বলেন, সেদিন তার ঐ উদ্যোগ ও পরবর্তীতে পশ্চিম বাংলার বামফ্রন্ট সরকার বিশেষ করে কমরেড জ্যোতি বসুর ভূমিকা গঙ্গার পানি চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হলেও গঙ্গা চুক্তিতে যেভাবে পানির ভাবা হয়েছিল তা কখনও পানি পাওয়া যায়নি। বরং ফারাক্কাসহ গঙ্গার উজানে পানি প্রত্যাহার করার ফলে বাংলাদেশের জন্য গঙ্গার পানি প্রাপ্তি কার্যত: অসম্ভব পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে। অন্য দিকে ভারতের আন্ত নদী সংযোগ পরিকল্পনা এই বিপদকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গঙ্গা চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ঐ চুক্তির পর্যালোচনার ভিত্তিতে ঐ চুক্তির নবায়ন জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য দিকে তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে মেনন বলেন, সম্পাদিত হলই না বরং তিস্তা এখন ভূ-রাজনীতির দ্বৈরথের শিকারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির জন্য আর অপেক্ষা করতে পারে না। তিস্তা চুক্তি পানি না দিয়ে তিস্তা মহা-পরিকল্পনার ভারতের অর্থায়নের সাম্প্রতিক প্রস্তাব অর্থ কার্যত: ‘গরু মেরে জুতা দানের’ শামিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। মেনন আরও বলেন, কারও জন্য অপেক্ষা নয়, তিস্তার মানুষকে বাঁচাতে, উত্তর বাংলাকে বাঁচাতে, নিজস্ব অর্থায়নে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিস্তা পাড়ের মানুষের অর্থ দিয়ে সেটা করা সম্ভব। মেনন এজন্য তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা আলোচনার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, গঙ্গা-তিস্তা পানি নিয়ে আর অপেক্ষা নয়। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। ওয়ার্কার্স পার্টি এ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। আলোচনা সভায় ‘১৯৯৬ এর গঙ্গা-চুক্তির মেয়াদ শেষে আমাদের করণীয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন নদী ও পরিবেশবিদ জনাব মাহবুব সিদ্দিকি, সাংবাদিক ও পানি বিশেষজ্ঞ, জনাব শেখ রোকন ও “বাংলাদেশের দুঃখ তিস্তা: তিস্তা মহা-পরিকল্পনা” নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি. সভাপতি, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top