All Menu

সত্য সুন্দরের পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মানুষের সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে যাওয়াই যিশুর পুনরুত্থান দিবসের মূল তাৎপর্য। যিশুর আদর্শকে ধারণ ও লালন করতে হবে। সত্য-সুন্দরের পথে নিজেদের জীবনকে পরিচালিত করতে হবে। রবিবার (৩১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সকালে ঢাকায় মিরপুরে ওয়াইএমসিএ’র সামনে যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান উপলক্ষ্যে প্রাতঃকালীন উপাসনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, যিশু খ্রিষ্টের পুনরুত্থান খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিষ্টানরা এদিনে মৃত্যুর বিরুদ্ধে যিশু খ্রিষ্টের বিজয় উদযাপন করে। তিনি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদেরকে যিশুর পুনরুত্থান দিবসের শুভেচ্ছা জানান। মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিলো অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলা। সরকার সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৮ প্রণীত হয়েছে এবং এ আইনের আলোকে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণে নানামুখী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে গত ২০১২-২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬১০ টি চার্চের সংস্কার/মেরামতের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ৪০টি সানডে স্কুলের জন্য ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ২০১১ সাল হতে এ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে ২ হাজার ৯৭টি চার্চে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া সেমিনার আয়োজন ও কর্মশালার মাধ্যমে পাল, পুরোহিতদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। মন্ত্রী যিশুর আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। বিশপ সাইমন আর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পিসহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, যাজক, পাল, পুরোহিত, বিশপ ও উপাসকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top