ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে আরো বেগবান করতে ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং ২০২৪’ ঘোষণা করেছে। সোমবার (১১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) এ উপলক্ষ্যে পেট্রোবাংলার অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালে অফশোর এবং অনশোরের জন্য আলাদাভাবে পিএসসি হালনাগাদ করা হলেও করোনা মহামারির জন্য বিড রাউন্ড আয়োজন সম্ভব হয়নি। তবে করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে সাথে তেলের বাজারেও বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে ভাটা লক্ষ্য করা যায়। সে প্রেক্ষিতে অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯-কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরো যুগোপযোগী ও প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে পরামর্শকের মতামত এবং পেট্রোবাংলার নিজস্ব পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে Bangladesh Offshore Model PSC 2023 প্রণয়ন করা হয়, যা ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এবারের পিএসসিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
• নতুন পিএসসি-তে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিসমূহকে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু আকর্ষণীয় বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার মধ্য অন্যতম হলো, গভীর ও অগভীর সমুদ্রাঞ্চলের উভয়ের জন্য বাৎসরিক Cost Recovery সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ করা। এই পরিবর্তনের ফলে কন্ট্রাক্টর তার বিনিয়োগ-কৃত অর্থ দ্রুত ফেরত পাওয়ায় একদিকে উৎসাহিত হবে অপরদিকে Cost Recovery দ্রুত শেষ হলে পেট্রোবাংলা তথা সরকারও দ্রুত অধিক হারে লভ্যাংশ প্রাপ্ত হবে।
• Profit Sharing-এর ক্ষেত্রে পিএসসি-তে ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ইতিপূর্বে পিএসসি-তে Profit Sharing-এর পদ্ধতি production based ছিল যা বর্তমান পিএসসি-তে Profitability Based (R-Factor) অনুসরণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে কনট্রাক্টরের বিনিয়োগ-কৃত অর্থ যৌক্তিক সময়ে ফেরত প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। একই সঙ্গে লভ্যাংশ শেয়ারের Upper limit ও Lower Limit বিডেবল রাখার কারণে সরকারের আরো বেশি লভ্যাংশ প্রাপ্তির সুযোগ রাখা হয়েছে।
• গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে ব্যবহৃত মার্কার প্রাইস HSFO-এর পরিবর্তে অগভীর এবং গভীর সমুদ্রাঞ্চলের গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য মার্কার প্রাইস হিসেবে Brent ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে Brent-এর ১০ শতাংশ। পূর্বের ন্যায় ফ্লোর এবং সিলিং না থাকায় গ্যাসের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ নূরুল আলম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।