All Menu

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মিলন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ৬ মার্চ বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ‘বার্ষিক সম্মিলন-২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ‘বার্ষিক সম্মিলন-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আমি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ সার্ভিসের সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসকে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্যরা সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সেবার মানসিকতা নিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন অভিযাত্রায় কেন্দ্রীয় পর্যায় হতে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে এ ক্যাডারের সদস্যরা অন্যান্য সার্ভিসের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে সরকারি নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিয়ে এ ক্যাডারের সদস্যগণ জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে এ ক্যাডারের ভূমিকা অগ্রগণ্য ও প্রশংসনীয়। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ ক্যাডারের অনেক সদস্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। সফল নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার আলোকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৩৬ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং দুই সহস্রাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ দেশের জনগণ। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে দেশের শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাকে আরো গতিশীল করতে হবে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন সদস্যবৃন্দ দেশ প্রেম, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে সর্বদা প্রস্তুত রাখবেন এবং মানুষের প্রয়োজনে মানুষের কল্যাণে আরো বেশি নিবেদিত হবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, করোনা অতিমারিসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণ। সফলভাবে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব প্রদান, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের কার্যক্রম, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, শীতার্তদের শীতবস্ত্র প্রদান, গণশুনানি, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে প্রশাসন পরিবারের সদস্যগণ অনন্য ভূমিকা রাখছেন।
‘রূপকল্প-২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। একই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ অর্থাৎ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এ ক্যাডারের চৌকশ সদস্যগণ বরাবরের মতোই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের ‘বার্ষিক সম্মিলন-২০২৪’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top