All Menu

বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে আমি দেশের ৪৭৯টি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির প্রতিনিধিসহ সকল সমবায়ীদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সংবিধানে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তিনি সমবায়ভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের সূচনা করেন এবং ১৯৭৩ সালের ২৮ আগস্ট ‘বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশন’ গঠন করেন।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পল্লী অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আমরা সমবায়ভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়নে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করেছি। দেশের প্রান্তিক মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় সমবায়ভিত্তিক নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের বিস্ময়। আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর এবং ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা ৪টি ভিত্তি নির্ধারণ করেছি-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি-ইউসিসিএ এর মাধ্যমে সমবায়ী কৃষকদের স্মার্ট কৃষক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। উন্নয়নের এ ধারা চলমান রাখতে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমবায় সমিতিগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
আমি আশা করি, বার্ষিক সাধারণ সভায় সমবায় সমিতির প্রতিনিধিগণ সমবায় অঙ্গনের বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে পারস্পরিক মতবিনিময়, সুচিন্তিত মতামত প্রদান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন, যা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে সম্পূর্ণরূপে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব হবে। আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের ৩৬তম বার্ষিক সাধারণ সভার সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top