ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আধুনিক রূপ পাওয়া বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরো উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ করতে চাই যার অংশ হিসেবে স্মার্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা হোল অভ্ সোসাইটি এপ্রোচে কাজ করতে চাই। প্রতিমন্ত্রী রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় একটি হোটেলে ÔEarly Warning for Ensuring All and creating futuristic Disaster Risk Management through partnership effortsÕ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং শরণার্থী সেলের প্রধান মোঃ হাসান সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, ডব্লিউএফপিএ’র সিনিয়র পার্টনারশিপস এডভাইজার ও সরকারের সাবেক সচিব মোঃ মোহসীন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেলি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যে সারা বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে সম্মান পেয়েছে, সেটির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ অংশী প্রতিষ্ঠানসমূহের অকুণ্ঠ সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ, আপনারাও এই কৃতিত্বের অংশীদার। আমি আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরো আধুনিক, কার্যকর ও জনমুখী করতে চাই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গড়া। সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলো বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, ড্রোন টেকনোলজি গ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করা। এর পাশাপাশি আমাদের অবকাঠামোগত পরিকল্পনা ও প্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে। মোটকথা, আমরা সবাই মিলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার হতে চাই। তিনি বলেন, আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এমনভাবে গড়ে উঠবে, যাতে উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগঘটিত সকল বাধা দূর হবে। যে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা প্রতিরোধ করতে পারব না, সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যেন সর্বনিম্ন থাকে। আমরা জীবনহানির সংখ্যাকে উল্লেখযোগ্য-ভাবে কমাতে পেরেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো, মানুষের জীবন-জীবিকাকে রক্ষা করা। দুর্যোগের শিকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসমূহকে দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। আমাদের মূল উদ্দেশ্য উন্নয়নকে টেকসই করা। এর পাশাপাশি দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলাও আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরসমূহ, সহযোগী সরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, অন্যান্য অংশী-জন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা/গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।