খাগড়াছড়ি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী সংঘবদ্ধ চক্র এখন আর পার্বত্যাঞ্চলে অপশক্তির প্রয়োগ করতে পারছে না। পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃ-ঘাতী সংঘাতের এখন আর সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎসাহসীকতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং পার্বত্যবাসীর প্রতি সুনজর থাকার কারণেই পার্বত্যঞ্চল অপশক্তি, অশান্ত ও অন্ধকার-মুক্ত হয়ে এখন আলোকিত হয়েছে। শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া মহল্লার নোয়াপাড়া-নিউজিল্যান্ড পাড়াবাসী ও রাধামন ধনপুদি আর্থসামাজিক উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষ এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছে। জেলা-উপজেলাগুলোতে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল সুযোগসুবিধা পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা ভোগ করতে পারছে। এখন আর এখানকার ছাত্রছাত্রীদের দূর-দূরান্তে শিক্ষার জন্য যেতে হয় না। এতো সুযোগসুবিধা কোনো সরকারের আমলে সৃষ্টি হয়নি। সরকারের যেসমস্ত কাজ অসমাপ্ত রয়েছে তা দ্রুতই সমাপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত সরকার পাহাড়ের দীর্ঘ দু’দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করার কোন উদ্যোগই নেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা, দেশের শান্তির কথা ভেবেই পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করতে পেরেছে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। খাগড়াছড়ি জেলা বার কাউন্সিলের সভাপতি এডভোকেট আশুতোষ চাকমরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরূপা চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বাবু নিলোৎপল খীসা, খাগড়াছড়ি মহিলা কলেজের প্রভাষক রূপম খীসা, পানছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক বাবু সুজিত চাকমাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।