All Menu

জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২-২৩ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২ ও ২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২ ও ২০২৩’ এর পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে ‘আলোর ফুল’ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই বর্ণিল উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বছর পূর্বেই জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্বাস করতেন শিশুরাই জাতি গঠনের ভিত্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্ণধার। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে তারা যোগ্য নাগরিক হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে।
আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জাতীয় শিশুনীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উদ্‌যাপন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছি। প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি।
শিশুদের যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সুশিক্ষা ও সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমার প্রত্যাশা, ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো আমাদের শিশু-কিশোররা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনেও জোরালো ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করি, ‘আলোর ফুল’ স্মারকগ্রন্থটি আমাদের শিশু-কিশোরদের সেই লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা হলেও এগিয়ে দেবে।
আমাদের শিশুরা বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের শিশুদের চেয়ে কম মেধাবী নয়। তারা তথ্যপ্রযুক্তি, সংগীত ও চিত্রাঙ্কনসহ অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রে বর্হিবিশ্ব থেকে সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু কিছু সামাজিক কুপ্রথা শিশুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রায়ই বাধা হয়ে দাড়ায়। এ বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে। শুধু সরকারি পদক্ষেপই এ জন্য যথেষ্ট নয়, শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন একান্ত জরুরি। আমি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসহ সকল সচেতন নাগরিক এবং অভিভাবকদের প্রতি শিশুদের সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আসুন, আমরা শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণের জন্য আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি এবং সকলে মিলে জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২২ ও ২০২৩’ এর সকল আয়োজনের সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top