ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক Dr. Qu Dongyu প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা ৪র্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক আজ (০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) উক্ত মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএও (FAO)-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পঁয়তাল্লিশ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত ইসলাম কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি “কাউকেই বাদ দেয়া হবে না” (Leaving No One Behind)-এর ভিত্তিতে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এবং এফএও উভয়েই একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মোঃ আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মোঃ আশফাকুর রহমান এবং এফএও’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।