All Menu

টাঙ্গাইল শাড়িকে শীঘ্রই জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন দেয়া হবে

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি-কে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেয়া হবে। এজন্য তিনি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। শিল্প সচিব সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত হন। শিল্প সচিব বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যে সকল আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্র্যান্ডিং এর উদ্যোগ নেয়া হবে। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই একদিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে। ইতিমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে। সভায় জানানো হয় ইতিমধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আমরা আইনগত বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধা-সম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top