ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মতোই ভারত আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশেষ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতিম দু’টি দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, মহান মক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভারতের ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণ করবে। তিনি বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ৫ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ভারতের একটি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তিন মাস আগে বাংলাদেশ সফরে আসে। তখন আলোচনা হয়, এ বিষয়ে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণে লাইন অভ্ ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ১৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এসব হাইটেক পার্ক আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে, রপ্তানি বাড়বে। তিনি বলেন, প্রায় দেড়শত কোটি মানুষের দেশ ভারত একটি বিশাল বাজার। আমাদের উৎপাদিত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার রপ্তানির মাধ্যমে এই বিশাল বাজার ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রযাত্রার মাইল ফলক হতে পারে। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত পাশে থাকবে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।