All Menu

মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কবির জন্মভূমি যশোর জেলার সাগরদাঁড়িতে ১৯-২৭ জানুয়ারি ৯দিনব্যাপী ‘মধুমেলা’র আয়োজন করা হয়েছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি মাইকেল মধুসূধন দত্তের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মাইকেল মধুসূধন দত্ত বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের ভাবাদর্শের সফল সম্মিলনে তিনি বাংলা সাহিত্যে এনেছেন আধুনিকতার ছোঁয়া। বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মাইকেল মধুসূধন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি, নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তিনি বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ। কবিতা, নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট ও ট্রাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বসভায় উচ্চ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যুগস্রষ্টা এ কবির কবিতা ও লেখনিতে সাবলিলভাবে ফুটে উঠেছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব। তাঁর অমর কীর্তিসমূহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার প্রতি কবি যে গভীর মমত্ববোধ ধারণ করেছেন তা তাঁর সৃষ্টিকর্মে সহস্রধারায় উৎসারিত হয়েছে। কবির এ দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা কবির কর্মগাঁথাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি ।
আমি মধুমেলা-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top