All Menu

পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উদ্যাপিত

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। পার্বত্য অঞ্চলকে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় শান্তির পরিবর্তে সংঘাতকে উষ্কে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ২২ বছরের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে কয়েক দফা সংলাপের পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির ফলে পার্বত্য তিন জেলায় বিরাজমান দীর্ঘ সংঘাতের অবসান হয় এবং অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন পরিবেশের সূচনা হয়।
শনিবার (২ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকার বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক এ্যাফেয়ার্স এর যৌথ উদ্যোগে “The Chittagong Hill Tracts Accord 1997: Uniqueness and Unity” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক তথ্য কমিশনার (সচিব) সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। কী নোট প্রেজেন্টার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মুস্তাকিম বিন মোতাহার। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর ২৬ বছরে পার্বত্য অঞ্চলে কী অর্জিত হলো তার চিত্র তুলে ধরে সচিব মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের সম্ভাবনা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে পাহাড়ি জনগণের জীবনকে উন্নত করার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়েছে। ইতোমধ্যে আরো তিনটি ধারার বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৪টি ধারার বাস্তবায়ন কার্যক্রম ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলে জানান সচিব। সচিব মশিউর রহমান বলেন, একসময় পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতো না। এখন স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বের বিকাশ হচ্ছে। তিনি বলেন, আর এগুলোর সবকিছুরই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার।

একই দিন সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ফেস্টুন উড্ডয়ন ও কবুতর অবমুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবসের সূচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমাসহ পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও ঢাকায় বসবাসরত তিন পার্বত্য জেলার অধিবাসীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top