চট্টগ্রাম, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সুচিন্তিত দিক-নির্দেশনায় তাঁর জীবদ্দশায় ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ বিএসসি’র জাহাজ বহরে সংযোজিত হয়। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে বিএসসির বহরে বিভিন্ন ক্যাটেগরির ২১টি জাহাজ যুক্ত হবে। প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) চট্টগ্রামে হোটেল রেডিসন ব্লুতে বিএসসি’র ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক নৌপথে নিরাপদ ও দক্ষ শিপিং সেবা প্রদান করা এবং বাংলাদেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিজস্ব জাহাজ বহর দ্বারা পরিবহন করার উদ্দেশ্যে বিএসসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী নৌ-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবহন নেটওয়ার্কের ভিত গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি তাঁর অধীনে রেখেছিলেন। কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা লাভের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ ‘বাংলার দূত’ এবং এর পর পরই ‘বাংলার সম্পদ’ নামক অপর একটি জাহাজ কর্পোরেশনের বহরে সংযোজিত হয়। খালিদ মাহমুদ আরো বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। কয়লা, এলএনজি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)’র পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহন ছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন ও আর্থিকভাবে লাভজনক বিবেচনায় বিভিন্ন ধরনের জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে দি বাংলাদেশ ফ্লাগ ভেসেলস (প্রটেকশন অব ইন্টারেস্ট) এ্যাক্ট ২০১৯ পাশ হয়েছে। যার ফলে সরকারি তহবিলে আমদানি বা রপ্তানিকৃত পণ্য সমুদ্রপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে বিএসসি অগ্রাধিকার পাবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল ও বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মো. জিয়াউল হক অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।