All Menu

গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩’ ও ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’-এর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩’ ও ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’-এর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি আইডিইবি’র সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। টেকসই জাতীয় উন্নয়নের জন্য নাগরিকদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ও প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বক্ষেত্রে গবেষণার মধ্য দিয়েই আমাদের মেধামননের দক্ষতা বিশ্বকে জানান দিতে হবে। দেশে আরো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সাইন্স এন্ড আইসিটি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং সব কাজ করতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭৩ সালে এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের পথ ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানভিত্তিক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও দেশের উন্নয়নে ব্যাপক সংখ্যক প্রযুক্তিবিদ ও জনগণকে উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে নব নব উদ্ভাবন করা ও তা বাজারজাতকরণে এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। গতি পাবে অর্থনীতি এবং চাকরি নির্ভরতা হ্রাস পাবে। দেশে শিল্প কারখানার প্রসার হবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জাতির উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমি মনে করি-এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের বিরাট অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। একটু সুযোগ পেলেই তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। এর জন্য আমাদের সরকার সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে আরো সুযোগ সৃষ্টি করবে। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় নীতিমালাও তৈরি করা হবে। আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আর এ জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতি জেলা ও উপজেলায় স্থাপন করা হচ্ছে। আমি আশা করি- এ সুযোগ গ্রহণ করে আমাদের উদীয়মান যুব শক্তি নিজেদের উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাবেন এবং প্রচলিত চাকরি বাজারের পেছনে না ঘুরে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন। বিষয়টি অনুধাবনে নিয়ে ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩’ ও আইডিইবি’র এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ নির্ধারণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সময়োচিত প্রতিপাদ্য নির্ধারণ ও এর আঙ্গিকে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য আমি আইডিইবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি আগ্রহের সাথে লক্ষ্য করছি- মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্যতম সংগঠন আইডিইবি বিগত বছরগুলোতেও গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষ্যে প্রযুক্তি চিন্তাহীন রাজনীতি শোষণের হাতিয়ার, গণমুখী প্রযুক্তি-গণমানুষের মুক্তি, কৃষি জমি রক্ষা কর-পরিকল্পিত গ্রাম গড়, দক্ষতা সংস্কৃতি-জাতীয় সমৃদ্ধি, নীল অর্থনীতি-এনে দেবে সমৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাতীয় সমৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইত্যাদি প্রতিপাদ্য নির্ধারণপূর্বক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক জাতি গঠনে সচেষ্ট ছিল। যা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করেছে। আমাদের সরকার আইডিইবি’র বেশ কিছু সুপারিশ রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। আমি এর জন্য আইডিইবিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ‘গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩’ ও আইডিইবি’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top