ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে যত বেশি সম্ভব চলচ্চিত্রের পর্দায় তুলে ধরতে হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের ফসল। রবিবার (৫নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা’ এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জয় বাংলা স্লোগানটি ছিল প্রেরণাদায়ক একটি শক্তি। দেশের ভিতর ও বাইরেও যুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা বাহিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। জয় বাংলা স্লোগানের সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মধুর ক্যান্টিন থেকে বন্ধু আফতাব আহমেদ ও চিশতি হেলালুর রহমান জয় বাংলা স্লোগানটি প্রথম উচ্চারণ করেন। ক্যান্টিনে ৫/৬ জনের দলটির সাথে মন্ত্রী নিজেও এই স্লোগানটি প্রথম ধ্বণিত করেন উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু এই স্লোগানটি গ্রহণ করেছিলেন। মন্ত্রী জয় বাংলা চলচ্চিত্রটিকে অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি কাজ উল্লেখ করেন এবং এর সাথে জড়িত শিল্পী ও কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের একটি মহাকাব্য। এ মহাকাব্য রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয় সেই ১৯৭২ থেকেই, যা আজও চলমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, সরকারি অনুদানও দেয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলা ও বাঙালির বীরত্ব ও গৌরবের গল্প। এই গল্পে নারীদের ভূমিকা যথাযথভাবে তুলে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূহ উল আলম লেনিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ মিজানুর রহমান এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলা’ এর পরিচালক শায়লা রহমান তিথি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।