আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশকে দিয়েছেন একটি লাল-সবুজের পতাকা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরের দিনই বঙ্গবন্ধু সংবিধান রচনায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংবিধানের সমতার দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি শনিবার (৪ঠা নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীস্থ রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩ উপলক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন। আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো: মইনুল কবীর এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ। সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো: গোলাম সরওয়ার এবং আইন কমিশনের সদস্য এ টি এম ফজলে কবীর। ‘এই শাসনতন্ত্র শহীদের রক্ত দিয়ে লেখা’- বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান কারো দান, অনুকম্পা, সন্ধি-আলোচনা বা চুক্তির মাধ্যমে পাওয়া যায় নি। লাখো শহীদের রক্তের দামে অর্জিত হয়েছে এই অনন্য সংবিধান। স্পীকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনের পরিপূর্ণ প্রতিফলন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন বাস্তবায়ন করতে আইনের শাসন সমুন্নত রেখে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। একারনেই তিনি গৃহহীনদের ঘর দিয়েছেন, দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে এনেছেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিস্তার করেছেন, সমাজে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মধ্যে দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ বজায় রেখেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের সংবিধানকে বলেছেন জনতার শাসনতন্ত্র। তাই জনগণের কল্যাণে এই সংবিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। এ অনুষ্ঠানে আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যমকর্মীগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।