All Menu

বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ

শরীয়তপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। বিএনপি ও তাদের দোসরদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি যদি আবারও ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংস ও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি করে তাহলে জনগণের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজপথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপির এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে জনগণ। বুধবার শরীয়তপুর জেলা পরিষদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের নামে প্রোপাগান্ডা অতীতে যেমন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি, তেমনি ভবিষ্যতেও পারবে না। দুঃশাসনের কথা যখন বিএনপি বলে তখন দেশের মানুষ হাঁসে। দুঃশাসন বলতে যা বুঝায় সেটা বিএনপির আমলেই বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। এদেশের মানুষ তা ভুলে নাই। বিএনপি নেতাদের দুঃশাসনের কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। দেশের মানুষ বিএনপির সেই অপশাসন ও দুঃশাসনে আর ফিরে যেতে চায় না। জনগণ এখন বুঝে গেছে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিই বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন ও গণধিকৃত দলে পরিণত করেছে। এনামুল হক শামীম বলেন, টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপির ওপর অত্যাচার নির্যাতন হয় নাই। আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। গত ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও বিএনপির ওপর কোনো অত্যাচার করেনি আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপির উত্থান হয়েছে। এদের নেতাকর্মীদের মাথায় শুধু গুম, খুন। ক্ষমতায় থাকতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে আন্দোলনের নামে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। জাতীয় নেতাদের নামে প্লেট চুরির মামলা পর্যন্ত দিয়েছে। এদেশের জনগণ তা ভুলে নাই। উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলে সারা বাংলাদেশের মতো শরীয়তপুর সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। নড়িয়ায় এখন আর নদী ভাঙন নেই। সেখানে জয়বাংলা এভিনিউ ও সোনার এভিনিউ নামে পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট পারভেজ রহমান জন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ পার্কের উদ্বোধন, বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেনকে বিদায়ি সংবর্ধনা, মেধাবী শিক্ষার্থী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা সৈনিকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top