ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মেগাসিটির জনসংখ্যা এবং নাগরিক সুবিধা সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে দুর্ভোগ কমবে না। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস কিংবা পানিসহ যে কোন ইউটিলিটি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। তার তুলনায় জনসংখ্যা অতিরিক্ত হলে সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে এবং সেবা প্রদান বিঘ্নিত হয়। তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত বিল কালেকশন অ্যাওয়ার্ড ২০০২১-২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ওয়াসার পানির দাম জোনভিত্তিক নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার অভিজাত এলাকার পানির মূল্য আর দরিদ্র জনবহুল এলাকার পানির মূল্য একই হওয়া বৈষম্যমূলক। এ সময় মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে ওয়াসার রাজস্ব আহরণ ৪০০ কোটি থেকে বর্তমানে তা ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে ৩৫তম অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সাড়ে বারো হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট রাষ্ট্রে উন্নীত করতে বর্তমানে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। তিনি বলেন, উন্নত অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সম্পদের বৈষম্য কম। এখন বাংলাদেশের গ্রামের অর্থনীতিও অনেক শক্তিশালী। জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ঢাকায় বায়ু দূষণ ও যানজট থেকে শুরু করে নানা প্রকারের দূষণ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে ঢাকা শহরের মানুষের কর্মস্পৃহা এবং কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, এই শহরকে দূষণমুক্ত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ডঃ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এন্ড সিইও ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।