ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের ভাতাগুলো কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে।’ সোমবার তিনি নিজ নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল উপায়ে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অতীতের দিকে তাকিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিল। ২০০১ সালে বিএনপি এসে সেই ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সময় প্রতি ইউনিয়নে মাত্র দুই-চার-পাঁচজনে ভাতা পেত, যারা পেত তারা বিএনপি নেতাদের কাজের ছেলে বা আত্মীয়-স্বজন, সাধারণ মানুষ সরকারের ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা পেত না।’ সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ‘৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সেখানে গরু বেঁধে রেখেছিলো। আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গরু-ছাগল সরিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। বর্তমানে দেশে সবমিলিয়ে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে, রোজা, ঈদ, পূজা-পার্বণে ফ্রি চাল দিচ্ছে, টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। সন্তান স্কুলে গেলে মায়ের মোবাইলে টাকা চলে আসে। এসব সহায়তা আগের কোন সরকার দেয়নি।’
‘যে সরকার রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট করে দেবে, যে সরকার মানুষকে বিনামূল্যে এতো সহায়তা করবে, সেই সরকারের পক্ষে থাকা আমাদের সকলের নৈতিক কর্তব্য’ বর্ণনা করেন চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহ্মুদ। নিজ নির্বাচনি এলাকায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করোনার সময় ফ্রি মাস্ক, সেনিটাইজার এবং পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণদাতা ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি ঈদ, পূজা-পার্বণ এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নতুন কাপড়, ফ্রি চাল, ডালসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত শীত মৌসুমে ১০ হাজার মানুষকে কম্বল দিয়েছি।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যারা লম্বা লম্বা কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনোদিন একমুঠো চাল কাউকে দেয়নি। তাদের থেকে সতর্ক থাকা এবং ভবিষ্যতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।’ পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী। ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রণির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।