ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ৪ ফেব্রুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা এর ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৩’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা এর ৮ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে আমি সংগঠনটির উপদেষ্টা, পৃষ্ঠপোষক, শিশু কিশোর ও অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অত্যন্ত ভালবাসতেন। শিশুদের প্রতি ছিল তাঁর অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। জাতির পিতার আদর্শকে আমরা ধারণ করি, তাঁর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকার শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ ও ‘শিশু অধিকার সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় শিশু দিবস, বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস পালন, পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও পুষ্টি, আশ্রয় ও সুরক্ষা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক সম্পর্কিত নানাবিধ কর্মসূচিসহ শিশু শ্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় টেকসই উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশু কিশোরদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করা, তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলার লক্ষ্যে শিল্প, সাহিত্য এবং খেলাধুলার বিভিন্ন শাখায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াবে, আর সেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কারিগর হবে আজকের সুশিক্ষিত প্রজন্ম। আমরা সকল শিশু কিশোরের সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শিশু কিশোরদের প্রতি সকল ধরনের সহিংস আচরণ, বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশের শিশু কিশোরদের প্রতিভা বিকাশ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের উপদেষ্টা করে গড়ে ওঠা এই শিশু কিশোর সংগঠন ৩২ বছর ধরে শিশু কিশোরদের নিয়ে কাজ করছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আসুন, শিশু কিশোরদের কল্যাণে আমরা আমাদের বর্তমান সময়কে উৎসর্গ করি। আমি আশা করি, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলাও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় সামিল হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং এই শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে আমরা সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ ।
আমি ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’র ৮ম জাতীয় সম্মেলন-২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।