All Menu

মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সূর্যসন্তান

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিজিবি মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিজিবিতে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পদক ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বুধবার পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন। দরবারের শুরুতেই বিজিবি মহাপরিচালক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সূর্যসন্তান। তাঁদের ঋণ কোনো কিছু দিয়ে শোধ করা যাবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা আগের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের উত্তরসূরিদের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং আজীবন তাদের পাশে থাকবে। অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা কার্যক্রম, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং খেলাধুলা ও শারীরিক উৎকর্ষতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। বছরজুড়ে বিজিবির অভিযানিক সফলতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়, খেলাধুলায় সাফল্য, সৈনিকদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ইত্যাদির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান সরকারের সানুগ্রহ পৃষ্ঠপোষকতায় সৈনিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদেরকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে পারিবারিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার নির্দেশনা দেন। দরবার শেষে বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ এবং কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অফিসারসহ মোট ৫৬ জন বিজিবি সদস্য এবং অসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মেডেল (বিজিবিএম), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মেডেল সেবা (বিজিবিএমএস), প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড মেডেল (পিবিজিএম), প্রেসিডেন্ট বর্ডার গার্ড মেডেল সেবা (পিবিজিএমএস) এবং বর্ডার গার্ড অবদান মেডেল (বিজিওএম) এই পাঁচটি ক্যাটেগরিতে পদক প্রদান করা হয়। এরপর অপারেশনাল কর্মকাণ্ড, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ কোম্পানি/বিওপি কমান্ডার, শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষক/প্রশিক্ষণে অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনকারী সর্বমোট ৩২ জনকে ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রদান করা হয়। একইসাথে ৪টি শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়নকে ট্রফি প্রদান করা হয়। এরপর ৬৪ জনকে মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক প্রশংসাপত্র (ইনসিগনিয়াসহ) প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ৪ জনকে অনারারি সুবেদার মেজর হতে অনারারি সহকারী পরিচালক এবং ৪ জনকে অনারারি সহকারী পরিচালক হতে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করে তাদেরকে র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান করানো হয়। উল্লেখ্য, সারা দেশে বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত ১১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা, অনুদান ও উপহার প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top