All Menu

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শনিবার ১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষ্যে আমি নবীন গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই বিদ্যাপীঠের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও সেই মূলধারা বিকাশমান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ শিক্ষায়তন থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি সেসব বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিকবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরো কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে – এ আমার প্রত্যাশা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। এবারের সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে যারা নতুন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ আমি আশা করি, তোমরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে। আজকের এই মহামারি ও যুদ্ধ জর্জরিত পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের একান্ত প্রয়োজন। সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, সকল প্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার জীবনচেতনা এবং সাংস্কৃতিক বহুতে ঐক্যসন্ধানী মানুষের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, ততই বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বে প্রশান্তময় পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আমি আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষকবৃন্দ সমৃদ্ধ দেশ ও পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তার একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখবে। আমি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন সফল হোক – এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top