ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৬৪ সালে ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় কম্পিউটার প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে শুরু হওয়া তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, ১৯৭৩ সালে আইটিইউ ও আইপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ্-উপগ্রহ কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছেন। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিবে। মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় আইইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভোউলিশন ফর ইমার্জিং ফিউচার -২০২২ অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন শীর্ষক অধিবেশনে এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার শক্তির নাম হচ্ছে তারুণ্য। তরুণদেরকে বেকার না রেখে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে সম্পদে পরিণত করার বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছে গিয়ে সহজে সেবা দিতে পারে। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যান্ত্রিক এবং পঞ্চম শিল্প বিপ্লব যন্ত্র ও মানুষের সমন্বয়ে একটি শিল্প বিপ্লব যা মানবিক। বাংলাদেশ ইতোধ্যেই ফাইভজি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে । দেশের ডিজিটাল মহাসড়কের পথ বেয়ে বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো পঞ্চম শিল্প বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।