ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। মঙ্গলবার বাইতুল মুকাররম মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ৪২তম বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় (১৫ পারা হিফজ ক্যাটেগরিতে) তৃতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলাদেশি প্রতিযোগী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বাংলার এই ক্ষুদে হাফেজ মাত্র ১৩ বছর বয়সে পৃথিবীর ১১১টি দেশের প্রতিযোগিদের মধ্যে (১৫ পারা হিফজ ক্যাটেগরিতে) তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য যে সম্মান বয়ে এনেছেন তা এদেশের শিশু-কিশোরদের দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে হাফেজ সালেহ আহুমদ তাকরীমের হাতে দুই লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও বই তুলে দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিছক কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এ সংবর্ধনার মাধ্যমে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আবেগ আর বিশ্বাসকে সম্মান জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই সংবর্ধনা হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমের মতো লাখ লাখ শিশুকে পবিত্র কুরআন শিক্ষার প্রতি আরো বেশি আগ্রহী করে তুলবে । তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের প্রচার ও প্রসারে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় পর্যায়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য টঙ্গীতে জায়গা বরাদ্দ, কারাইলের মারকাজ মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য জমি বরাদ্দ, হজ পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থাসহ অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও ইসলামের প্রচার ও প্রসারে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, পবিত্র কুরআনের ডিজিটাইজেশন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, হজ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল সুবিধা চালুকরণ, সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করা, কওমী শিক্ষার্থীদের দাওরায়ে হাদীস সনদকে মাস্টার্স সমমান প্রদান, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থানসহ ইসলামের খেদমতে বহুবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু. আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, হাফেজ তাকরীমের পিতা হাফেজ আব্দুর রহমান হাফেজ তাকরীমের মাদ্রাসা মারকাজে ফায়জিল কুরআনের মুহতামীম মুফতী মুরতাজা হাসান ফয়েজী। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।