All Menu

চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউএস কোস্টগার্ডের সন্তোষ প্রকাশ

সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার ও আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে ১ হাজার ২৪১টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউএস কোস্টগার্ড সন্তোষ প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে ইতিমধ্যে ৬০ মেট্রিক টন বিপদজনক পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ট্রায়াল জাহাজ ভিড়বে। ‘পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ দ্রুতসম্পন্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। খুব শীঘ্রই সেটি উদ্বোধন করা হবে। রবিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এবং মোংলা বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার ও বিভাগীয় প্রধানগণ জুমসভায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট হতে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ডেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধির কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে; বাকি কাজ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী তিন বছর উক্ত এলাকায় ড্রেজিং কাজ চলমান থাকবে। বন্দরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গেইট, শেড ও ইয়ার্ডে আধুনিক পাবলিক এড্রেস সিস্টেম (পিএএস) বর্তমানে চালু আছে। পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) ও কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি ইউএস কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধিদল বন্দর সফর করে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বন্দরের সবকয়টি গেইটে স্ক্যানার স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল শিপ এন্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি (আইএসপিএস) কোড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রপ্তানিমুখী গেইটে কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপনের কাজ চলছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ চলমান। বন্দরের পোর্ট লিমিট এলাকায় অনুমোদনবিহীন বাল্কহেড চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈঠকে আরো জানানো হয় যে, মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে ৮ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর লক্ষ্যে মেইন শিপিং লাইন ‘মার্স্ক লাইন’ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে নিয়মিত ৭ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ছে। মোংলা বন্দরে বেশি বেশি জাহাজ আনয়নের লক্ষ্যে মেইন শিপিং লাইনারদের সাথে কথা হচ্ছে। মোংলা বন্দরে একটি ‘মোবাইল হারবার ক্রেন’ থেকে চারটি ‘মোবাইল হারবার ক্রেন’ সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে আমাদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে স্ক্যানিংয়ের জন্য একটি স্ক্যানার রয়েছে। আরো একটি স্ক্যানার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৈঠকে আরো জানানো হয় যে, পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য ৫ হাজার ৩৯০ একর জমির অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১ হাজার ২১ একর জমির অধিগ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের পুনর্বাসনের আওতায় ১৪টি প্যাকেজে ৩ হাজার ৫০০ পরিবারকে প্লটসহ বাড়ি প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এপর্যন্ত ২ হাজার ৪৯টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৭২৬টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ হাজার ৪৫১টি বাড়ি নির্মাণাধীন রয়েছে। ২৩টি ট্রেডে ১৬৮টি ব্যাচে ক্ষতিগ্রস্থ ৪ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯৪৩ জন বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top