ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাকে আরো আনন্দময় ও কার্যকর করে গড়ে তুলতে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিক্ষক হবেন অভিভাবক ও পরামর্শদাতা। শিক্ষার্থীকে আনন্দময় শিক্ষায় প্রবেশ করাতে শিক্ষকরা পরিচালকের ভূমিকা পালন করবেন। শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর সেন্ট জোসেফ স্কুলে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে সবার জন্য সহজ, গ্রহণযোগ্য ও আনন্দময় করে দেওয়ার জন্যেই শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে চাই। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই, শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে চাই। শিক্ষকের ভূমিকায়ও পরিবর্তন আসছে, শিক্ষক এখন ফেসিলিটেটর হবেন, গাইড হবেন। শিক্ষার্থীর আনন্দের অংশীদার হবেন। নতুন শিক্ষাক্রম এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা আন্দন্দের মধ্যে শিক্ষার জগতটাকে খুঁজে নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিখতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনটা শিল্প বিপ্লব পার হয়ে গেছে, সেই বিপ্লবে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবটি শুধু ধরতে পারা নয়, এর সফল অংশীদার হতে হবে। সে জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রকৌশল পড়তে হবে। কিন্ত সাহিত্য ও নন্দনতত্ত্বের বোধ যদি তৈরি না হয় তাহলে শুধু বিজ্ঞান, গণিত তথ্য-প্রযুক্তি পড়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি হবে না। সে কারণে সাহিত্যও পড়তে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয় ভাগে যেতে হবে উল্লেখ করে ডা. দীপু মনি বলেন, বড় বড় মেগাপ্রকল্পগুলো শেষ হলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেগাপ্রকল্প। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশের যা বাজেট ছিলো এখন শিক্ষা বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি, আরো অনেক বিনিয়োগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।