জামালপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, নদী ভাঙনরোধে সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে প্রস্তুতকৃত জিও ব্যাগ ভাঙনরোধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষার পরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে ভাঙনের হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষার পরিকল্পনা দ্রুততর সময়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত ভাঙন কবলিত মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। নদী ভাঙনরোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর বামতীরে চরকাটারি ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার নদী রক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পূর্বের চেয়ে নদী ভাঙনের হাত থেকে অনেকাংশে রক্ষা পেয়েছে। বর্তমান সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সবসময় দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানবতার পাশে দাঁড়ায়। একচল্লিশ সালের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের নদ নদী ও এর তীরবর্তী মানুষকে রক্ষা করতেই হবে। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে আছে এবং সবসময় পাশে থাকবে। জীব বৈচিত্র্য রক্ষার্থে সবাইকে নদী এবং এর পানির প্রতি যত্মবান হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ভাঙন কবলিত বড় নদীগুলো ড্রেজিং করতে হবে। আর সেই বালু দিয়ে নদীর পাড় বেঁধে সেখানে ফসল আবাদ করা হবে এবং বাধে বৃক্ষ রোপন করা হবে। ভাঙন কবলিতদের সাথে কথা বলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাঙনের অন্যতম কারণ হলো পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন। এতে করে পানির স্রোতের বেগটা তীরে এসে আঘাত করছে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে এসব অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।