ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছেন তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (০৫ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর জন্য স্থাপিত ‘সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূকেন্দ্র বেতবুনিয়া বিকল্প নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’ পরিদর্শন-কালে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পরিমণ্ডলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযোগ স্থাপনে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়ার ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে নিবেদিত সৈনিক হিসেবে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র আজ আবার গুরুত্ব পেয়ে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাচ্ছে। বেতবুনিয়া কেন্দ্র শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১টি দেশের সঙ্গে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স, টেলেক্স ইত্যাদি আদান-প্রদান শুরু করা হয়। প্রায় ৩৫ হাজার ৯০০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে শক্তিশালী অ্যান্টেনা দিয়ে বার্তা বা তথ্য আদান-প্রদানের কাজ সম্পাদিত হয়েছে ২০১৮ সালের পূর্ব-পর্যন্ত। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এই কেন্দ্রের কার্যকারিতা আরো বেড়ে গেছে। পরে জুনাইদ আহমেদ পলক রাঙ্গামাটি প্রধান ডাকঘর ও বিটিসিএল কার্যালয় পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।