কৃষি প্রযুক্তি পোশাক এবং প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মূল চালিকা শক্তি

প্রকাশিত : মার্চ ৬, ২০২৪ , ১০:৩২ অপরাহ্ণ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি, প্রযুক্তি, পোশাক এবং প্রবাসী আয়। এই চারটা উৎস থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকাংশ রাজস্ব আয় অর্জিত হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সেই সোনার বাংলার অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন সফল করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৬ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আয়োজিত ‘কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪’ এবং ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ সংরক্ষণাগার’-এর নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমাদের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা সময়মতো ন্যায্য মূল্যে সার, তেল, বীজ ও বিদ্যুৎসহ সবকিছুতে সহযোগিতা পাচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পলক বলেন, শিক্ষার প্রসার ও প্রযুক্তির প্রভাবে বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১৬ লাখ কৃষি শ্রমিক কমে যাচ্ছে, ফলে কৃষি শ্রমিকের বিরাট একটা চাহিদা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যতীত এই চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি ও ভর্তুকি প্রদান করছেন। বিগত ১৫ বছরে সিংড়ায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার খাল ও ১০০ কিলোমিটার নদী খনন করা হয়েছে। ফলে কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সেচের ব্যবস্থা হয়েছে পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্যও মৎস্যচাষের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সিংড়ার শস্য উৎপাদন প্রায় ১ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন এবং মৎস্য উৎপাদন প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিংড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই গবেষণা কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং শস্য ও মৎস্য ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি সিংড়ার ৫ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণের পর বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণেও ভূমিকা রাখতে পারবে। অনুষ্ঠানে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

[wps_visitor_counter]