ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক হতে শরীয়তপুর পর্যন্ত চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট ২০২২-২৩ অধিবেশনের উপর বক্তৃতাকালে তিনি এ অনুরোধ জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুরের চার লেনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপ-মন্ত্রী বলেন, মাননীয় স্পিকারকে পদ্মা সেতু হতে শরীয়তপুরের চার লেন দ্রুত করার অনুরোধ জানান। আগেই রাস্তাটি হওয়া দরকার ছিলো। পদ্মা সেতু হতে শরীয়তপুর এবং আলু বাজার ফোর লেন হয়নি। তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বললাম এবং ২৪ মার্চ ২০১৯ সালে যোগাযোগ মন্ত্রীকে আমি, ইকবাল হোসনে অপু ও নাহিম রাজ্জাক ডিও লেটার দিলাম। তিন সংসদ সদস্য মিলে সেতু সচিবরে সঙ্গে একাধিক সভা করেছি। যার কারণে ৩৪১ কোটি টাকার কাজ চলছে একটি প্রকল্পে। আরেকটি ৪০৫ কোটি টাকার। ১২ শ’ ৩১ কোটি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ভূমি অধিগ্রহণে, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং যোগাযোগ মন্ত্রীকে অনুরোধ করবো চারলেনের কাজটি দ্রুত শেষ করা এবং রেল লাইনের কাজ শুরু করার জন্য। পদ্মা সেতুর নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপমন্ত্রী শামীম বলেন, পদ্মাপারের মানুষ হিসেবে জাতির পিতার বীর কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলেও যেমন বাংলাদেশ হতো না, তেমনি বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু হতো না। আমরা পদ্মাপাড়ের মানুষ, আমাদের অনুভূতিটা ভিন্ন, মাননীয় চীফ হুইপের নেতৃত্বে ১৫ দিন পদ্মাপারে কাজ করেছি, জনসভা সফল করার জন্য। সে অঞ্চলের মানুষের আবেগ, উচ্ছ্বাস ভিন্ন ধরণের। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ ও সালাম জানিয়েছেন। উপ-মন্ত্রী শামীম বলেন; ২০২১ সালের ৪ ঠা জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। খালেদা জিয়া সেটা বন্ধ করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুকে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে নিয়েছেন। বিশ্বব্যাংক, জাইকা অর্থায়ন করার করার কথা ছিল, কিন্তু মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ তুলে অর্থ বন্ধ করে। কানাডার আদালতে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা এই সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেনর- আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। গত ২৫ জুন তিনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এনামুল হক শামীম বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সারা বাংলাদেশের মানুষ খুশি, শুধু খুশি না বিএনপি নামক দলটি ও তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বলেছিল- পদ্মা সেতু হবে না, ওটা জোড়া তালি দিয়ে করবে, উঠলে রিস্ক আছে। সকল ষড়যন্ত্রের মুখে চুনখালি মেলে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে ৭০ বছরের পদ্মার ভাঙন থেকে নড়িয়া রক্ষা পেয়েছে। জয় বাংলা এভিনিউ এখন পর্যটক এলাকা হয়েছে। গত ৩ বছরে একটি বাড়িও ভাঙেনি। নদীর তল দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলে দুর্গম চরে বিদ্যুৎ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিয়েছেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা। মেঘনার সেতুর ফিজিবিলিটি চলছে, পদ্মা সেতুর মতো মেঘনা সেতুরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত