ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এখন মাঠে বড় ধরনের কোন ফসল নেই। তারপরও, চলমান বন্যায় সুনামগঞ্জে ও সিলেটে ২২ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন বন্যা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, মৌলভীবাজারসহ অনেক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে্। এতে এখনো পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শাকসবজি, তিল, বাদাম প্রভৃতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী না হলে এখনো পর্যন্ত যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীর এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আমন ধানের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে আমন একটি বড় ফসল, যেখানে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টনের মতো চাল উৎপাদন হয়। এখন রোপা আমনের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা আর না বাড়লে বীজতলা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমনের বীজতলা তৈরির জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যেসব বীজতলা করা হয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আবার করা হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিত আছে, সেগুলো চাষিদের দেওয়া হবে। অন্যদিকে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) ধান চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, সব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বন্যার কারণে যদি আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা চাষ না করা যায়, তাহলো রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেজন্য, ক্ষতি পোষাতে কৃষকদেরকে বীজ, সেচ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হবে। চলমান বন্যার কারণে শাকসবজির দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বন্যার কারণে দেশে খাদ্য সংকট হবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বৈঠকে মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীর বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া, বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে মালদ্বীপ সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান। এর আগে সকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে অধীনস্থ সংস্থাসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত