ময়মনসিংহে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ এবং ৩ দফা দাবিতে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করেছেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২০অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) দুপুরে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে গরমিল করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। এসএসসির ফলাফল অনুযায়ী সব বিষয়ের ম্যাপিং করে বৈষম্যহীন ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান তাঁরা।
রবিবার (২০অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বেলা ১১টায় নগরের টাউন হল মোড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে এইচএসসিতে অকৃতকার্য শতাধিক শিক্ষার্থী এসে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে নগরের কাঠগোলা এলাকায় শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ের দিকে পদযাত্রা করেন। ‘বৈষম্যহীন রেজাল্ট চাই’, এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসূচির ব্যানারে উল্লেখ করে, ‘আমরা রেজাল্টে কোনো রকম বৈষম্য চাই না। পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষা বোর্ড ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকে পুলিশ অবস্থান নেয়।কিন্তু শিক্ষার্থীরা ফলাফল বাতিল চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়কে ইট ফেলে ও রাস্তায় বসে অবরোধ করলে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে আসেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. সফিউদ্দিন সেখ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবির পক্ষে অনড় থেকে জোরপূর্বক শিক্ষা বোর্ড ভবনের প্রধান ফটকের বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে প্রবেশ করেন।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের আলোচনা করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা চলার সময় যাত্রীদের বিষয় বিবেচনা করে পৌনে এক ঘণ্টা পর বেলা ১টা ১৫ মিনিটে সড়ক থেকে ব্যারিকেড তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া নাসিরাবাদ কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাফিউল করিম (রিসাত) বলেন, এবারের ফলাফলে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে গরমিল করেছে। কোন বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কোন বিষয় ম্যাপিং করেছে, তা বলতে পারেনি। পরীক্ষায় অ্যাটেন্ড না করেই অনেকে পাস করেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকে জানান, তাঁদের ফলাফল জিপিএ–৫–এর বদলে ফেল এসেছে।
নগরের মুসলিম গার্লস কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবা আক্তার (হিয়া) আইসিটিতে অকৃতকার্য হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফেল করার মতো পরীক্ষা দিইনি। কিন্তু ফেল দেখানো হয়েছেন। এ ফলাফল আমরা মানি না।’ বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা পুনরায় এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের জন্য বেলা তিনটার দিকে আবেদন করেন বোর্ডে। আবেদনে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যযুক্ত।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত